,

দিলি­ সফরে মমতার ভিন্ন রাজনৈতিক কৌশল

সময় ডেস্ক \ ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে, বিশেষ করে তিস্তা চুক্তিতে মূল ফ্যাক্টর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স¤প্রতি দিলি­ সফর করলেন। তার প্রতি সম্মান দেখিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন মমতা। কিন্তু এর বাইরে মমতার ছিল অন্য রাজনৈতিক কৌশল। তিনি ভারতে এই মুহূর্তে শক্তিশালী অবস্থানে থাকা বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার জন্য একটি সম্ভাব্য জোট গঠনের পরিকল্পনা নিয়েছেন। এ জন্য দিলি­ সফরের সময়েই তিনি কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে এক ঝলক আলোচনা সেরে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পারেননি। তাতে কি, মঙ্গলবার ফোনে দু’জনে প্রায় ২০ মিনিট কথা বলেছেন। দিলি­তে অবস্থানকালে মমতা কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি নেতা এলকে আদভানির সঙ্গে। রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন কংগ্রেস নেতা গোলাম নবী ও আহমেদ প্যাটেলের সঙ্গে। এ ছাড়া তিনি আলাপ সেরেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব, ওড়িশার নবীন পাটনায়েকেসহ অনেকের সঙ্গে। কেন এত লাগাতার সাক্ষাৎ, রুদ্ধদ্বার বৈঠক। সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছে, বিজেপিকে বধ করতে একটি জোট গড়তে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই মিশনে জোটের সামনে রাখতে চান কংগ্রেসকে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। এতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে মমতার যে ২০ মিনিট আলোচনা হয়েছে তাতে উঠে এসেছে বিজেপির বিরুদ্ধে সম্ভাব্য একটি জোট গঠনের ভিত্তি নির্মাণ নিয়ে। অকস্মাৎ এমন জোট গঠনের তোড়জোর কেন! সূত্র বলছে, ২০১৯ সালে লোকসভার নির্বাচন আছে। তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সিনিয়র নেতা বলেছেন, ২০১৮ সালে কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনে গুজরাট, কর্নাটক ও হিমাচল প্রদেশে বিজেপির সঙ্গে সরাসরি ফাইট হবে কংগ্রেসের। এসব রাজ্যে কংগ্রেস হলো মূল বিরোধী দল। তাই বিজেপি বিরোধী যেকোনো জোট গঠনের বিষয়টি তারা এড়িয়ে যাবে না। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মমতা (৩য় পৃষ্টায় দেখুন) বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার ভাইপো অভিষেক সাক্ষাৎ করেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গে। সূত্র বলেছেন, সে সময় অখিলেশ যাদব বলেছেন, বিজেপি বিরোধী যেকোনো ধর্মনিরপেক্ষ ফ্রন্ট গঠন করতে হলে অবশ্যই সামনে রাখতে হবে কংগ্রেসকে। ওদিকে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পাটনায়েকের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন মমতা। তৃণমূলের সূত্রগুলো বলেছেন, ওড়িশার বিজু জনতা দলকে সিবিআই দিয়ে ঘায়েল করার চেষ্টা করছে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসকে যেভাবে টার্গেট করা হয়েছে সেই একইভাবে বিজু জনতা দলকেও টার্গেট করা হচ্ছে। তাই নবীন পাটনায়েকেকে শক্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মমতা। তাকে ভয় না পাওয়ার আহŸান জানিয়েছেন। তবে বিজেপি বিরোধী এমন জোট গঠনের বিষয়টি নিশ্চিতও করেন নি মমতা, আবার উড়িয়েও দেন নি। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো একটি ‘অভিন্ন অবস্থান’ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছে। একটি ‘কমন প্লাটফর্মে’ দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।


     এই বিভাগের আরো খবর